অটোয়ায় বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন হাইকমিশনার মো. জসীম উদ্দিন
কানাডায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. জসীম উদ্দিন বলেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের যে স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষা ছিল, তা বাস্তবায়নে প্রবাসীদের সক্রিয় ভূমিকা অপরিহার্য। নাগরিক দায়িত্বের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে তিনি প্রবাসী বাংলাদেশিদের ডাকযোগে ভোটদানের জন্য নিবন্ধনের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, রাজনৈতিক অংশগ্রহণ হলো সেই মূল্যবোধের একটি মৌলিক প্রকাশ যার জন্য দেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছিল।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে অটোয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে মঙ্গলবার দিনব্যাপি নানা কর্মসূচীর সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। হাইকমিশনার বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিরা রেমিট্যান্স প্রেরণের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছেন, যা দেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান ভিত্তি। এখন সময় এসেছে রেমিটেন্স প্রেরণের পাশাপাশি প্রবাসীদের ভূমিকার ব্যাপ্তি বাড়িয়ে পুনঃসংজ্ঞায়ন করা। দক্ষতা বিনিময়, উদ্ভাবন, অ্যাডভোকেসি এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরও সুদঢ়ৃ করার মাধ্যমে জাতি গঠনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সম্পৃক্ততাকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করার আহ্বান জানান তিনি।
বিজয় দিবসের শুরুতে কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোঃ জসীম উদ্দীন অটোয়ায় বাংলাদেশ হাউজে জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। পতাকা উত্তোলনের পরে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এ সময় হাইকমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিকেলে হাইকমিশনের অডিটোরিয়ামে একটি বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি কমিউনিটির সদস্য, কানাডায় অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীবন্দ ও অন্যান্য আমন্ত্রিত অতিথিরা অংশ নেন। আলোচনার শুরুতে ১৯৭১ সালের মু্ক্তিযুদ্ধের শহীদদের পাশাপাশি জুলাই আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বাণী পাঠ করা হয়। এরপর সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। এই প্রামাণ্যচিত্রে মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষা তুলে ধরা হয়। উপস্থিত কমিউনিটির সদস্য ও অতিথিরা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ও উন্নয়ন অভিযাত্রায় প্রবাসীদের আরও গভীর সম্পৃক্ততা ও সক্রিয় অংশগ্রহণের উদ্যোগকে স্বাগত জানান।